কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বদলে দিচ্ছে বিশ্ব — নতুন সম্ভাবনায় উন্মুক্ত কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি খাত
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বদলে দিচ্ছে বিশ্ব — নতুন সম্ভাবনায় উন্মুক্ত কর্মসংস্থান ও প্রযুক্তি খাত![]() |
| Artificial Intelligence |
বর্তমান যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (Artificial Intelligence) শুধু প্রযুক্তি নয়, এটি এখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে। যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য—সবখানেই এআই-এর প্রভাব দিন দিন বাড়ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অধিকাংশ শিল্প খাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বড় অংশই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সম্পন্ন হবে। এর ফলে যেমন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে, তেমনি কিছু প্রচলিত পেশাও ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে।
এআই ব্যবহারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো—সময় ও খরচ সাশ্রয়। বড় প্রতিষ্ঠানে ডেটা বিশ্লেষণ, মার্কেটিং কৌশল নির্ধারণ এবং গ্রাহক সেবা ব্যবস্থাপনায় এখন এআই ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যাপকভাবে। একই সঙ্গে অনেক দেশই এখন “Responsible AI” বা দায়িত্বশীল এআই ব্যবহারের নীতি প্রণয়ন করছে, যাতে মানবিক মূল্যবোধ ও তথ্যের নিরাপত্তা বজায় থাকে।
বাংলাদেশেও এআই প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহ বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়, স্টার্টআপ এবং আইটি কোম্পানিগুলো এখন মেশিন লার্নিং ও ভাষাভিত্তিক এআই মডেল তৈরি করছে, যা ভবিষ্যতে দেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এআই মানুষের কাজ কেড়ে নেবে না, বরং মানুষের দক্ষতা বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে এটি হতে পারে উন্নয়ন ও অগ্রগতির নতুন চাবিকাঠি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন