টেলিভিশন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ রিপন মিয়ার।
টেলিভিশন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে পরিবারকে হেনস্তার অভিযোগ রিপন মিয়ার![]() |
| কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া | ছবি: রিপন মিয়ার ফেসবুক পেইজ থেকে |
জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া অভিযোগ করেছেন, কিছু টেলিভিশন সাংবাদিক তাঁর পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বাসায় প্রবেশ করে ভিডিও ধারণ করেছেন। সোমবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি পোস্টে তিনি এই অভিযোগ তোলেন।
আমি রিপন মিয়া। আপনাদের ভালোবাসা ও সহযোগিতায় আমি ২০১৬ সাল থেকে কনটেন্ট তৈরি করে আসছি। এই দীর্ঘ সময়ে কখনো কারও ক্ষতি করিনি। বরং সবাইকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন মানুষের ভালোবাসা বাড়ছে, তখন বিভিন্ন ধরনের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে— পেজ হ্যাকের চেষ্টা, টিভি ইন্টারভিউ না দিলে প্রাণনাশের হুমকিও পেয়েছি।”
তিনি আরও জানান, সোমবার সকালে ঢাকা থেকে কয়েকজন টেলিভিশন সাংবাদিক তাঁর বাসায় আসেন, এবং কোনো অনুমতি ছাড়াই তাঁর পরিবারের ভিডিও ধারণ করেন।
আমার ঘরে নারী সদস্য থাকার পরও তাঁরা অনুমতি না নিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন এবং নানা প্রশ্ন করতে থাকেন। আমার পরিবার কখনো মিডিয়ার সামনে আসেনি। আমি নিজেও কখনো তাঁদের প্রকাশ্যে দেখিয়ে কোনো অর্থ আয় করিনি।”
রিপন বলেন, “আমি সহজ-সরল একজন কাঠমিস্ত্রি পরিবারের সন্তান। আমাদের কারও উচ্চশিক্ষা নেই, কিন্তু আমরা কাউকে কষ্ট দিতে চাই না। এই ঘটনা আমাকে এবং আমার পরিবারকে খুব কষ্ট দিয়েছে।
চাইলেই আমি সংশ্লিষ্ট টেলিভিশন চ্যানেলের নাম প্রকাশ করতে পারতাম, কিন্তু কাউকে ছোট করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমি শুধু চাই, যারা এমন কাজ করেছেন, তারা যেন নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করেন। এভাবে অন্যের ক্ষতি করে অর্থ উপার্জন করা কোনো সম্মানের বিষয় নয়। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।”
![]() |
| রিপন মিয়া | ছবি: রিপন মিয়ার ফেসবুক পেইজ থেকে |
কে এই রিপন মিয়া
নেত্রকোনার সদর উপজেলার বাসিন্দা রিপন মিয়া পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। ২০১৬ সালে প্রকাশিত তাঁর একটি ভিডিও — ‘বন্ধু তুমি একা হলে আমায় দিয়ো ডাক, তোমার সাথে গল্প করব আমি সারা রাত’ — ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই তিনি পরিচিতি পান। ধীরে ধীরে তাঁর মজার ও সামাজিক বার্তামূলক ভিডিওগুলো জনপ্রিয়তা পায়। বর্তমানে ফেসবুকে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ১৮ লাখেরও বেশি।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন