নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি”– রাজু ভাস্কর্যে নাগরিক সংহতি সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের মন্তব্য
today News“নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি” – রাজু ভাস্কর্যে নাগরিক সংহতি সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের মন্তব্য।
শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এক নাগরিক সংহতি সমাবেশ।
আয়োজক ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট।
উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধাপরাধী এ টি এম আজহারুল ইসলামকে দায়মুক্তি এবং রাজশাহী ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে জামায়াত-শিবিরের হামলার প্রতিবাদ।
সমাবেশে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন—
“যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে, তার মধ্যে নতুন ফ্যাসিবাদের আগমনধ্বনি শোনা যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন,
“সমাজের ভেতর নতুন এক ফ্যাসিবাদী শক্তির নড়াচড়া দেখা যাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন,
“নারী, শ্রমিক, শিক্ষক বা শিক্ষার্থী— কেউই এখন নিরাপদ না। তারা নিজেদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করলেই হামলার শিকার হচ্ছে। হামলাকারীরা আবার রক্ষা পাচ্ছে, কারণ তাদের পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের মদদ।”
২৭ মে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা হয়।
পরদিন ২৮ মে, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশেও হামলা চালানো হয় পুলিশের উপস্থিতিতে।
উভয় ঘটনার জন্য ‘শাহবাগবিরোধী ঐক্য’র ব্যানারে জামায়াত-শিবিরের সাবেক ও বর্তমান কর্মীদের দায়ী করা হয়।
আনু মুহাম্মদ প্রশ্ন তোলেন—
“যুদ্ধাপরাধী হিসেবে চিহ্নিত এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কীভাবে দায়মুক্তি দেওয়া হয়?”
তিনি বলেন,
“এটি ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টা। যুদ্ধাপরাধের সত্যতা মুছে ফেলা যায় না।”
“একজন যুদ্ধাপরাধীকে নির্দোষ ঘোষণার অর্থ হলো ’৭১–এর শহীদ, নির্যাতিত নারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করা।”
তিনি সতর্ক করেন,
যদি আজকের প্রজন্ম সেই রাজনীতি ধারণ করে, তবে তারাও ইতিহাসের সেই অপরাধ থেকে মুক্ত নয়।
আনু মুহাম্মদ বলেন,
“যুদ্ধাপরাধের বিচারকে ইসলামবিরোধী বলা এক ভয়ংকর মিথ্যাচার। শহীদদের অধিকাংশই ছিলেন ধার্মিক মুসলমান। কাজেই, বিচারকে ইসলামবিরোধী বলা মানেই ইসলামের অবমাননা।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী পরিষদের হারুন উর রশীদ, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির মানজুর আল মতিন এবং ছাত্র জোটের জাবির আহমেদ।
প্রবল বৃষ্টির কারণে সংক্ষিপ্ত করা হয় সমাবেশ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন